সমকামিতার বিরুদ্ধ পোষনকারীদের রুখে দিতে হবে সম্মিলিত ভাবে
Share
লিখেছেনঃ আব্দুল কাদের
বাংলাদেশের মাটিকে কুলষিত করেছে এই ইসলামি দল হেফাজতে ইসলাম। আমি বলবো কিসের দাপটে এরা এত চেঁচায়? ধৈর্য অনেক ধরেছি আর নয়। এদের মত জঙ্গি আর জানোয়ার যদি সমকামীদের অধিকার আদায়ে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়, আর যদি একটা সমকামী ব্যক্তির উপরে হাত উঠে তাহলে বিশ্ববাসী আর বিবেকবান মানুষ কেও ঘরে বসে থাকবে না।
এই ইসলামের নামে ভন্ডামী মানুষ বুঝতে আর দেরি করবে না। ইসলাম নাকি শান্তির ধর্ম? এই তাদের শান্তির বানী! এ দেশ স্বাধীন হয় নাই! এদের হাত থেকে দেশকে স্বাধীন করার ডাক দিচ্ছি। ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করেছিল দামাল ছেলেরা বাংলার দুঃখি মানুষের ন্যায্য অধিকারের জন্য। ইসলামকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য নয়। এক পাক্ষিকভাবে একটা ধর্মকে প্রতিষ্ঠিত করা স্বাধীনতার সাথে ভন্ডামী এবং বেইমানি করা!
পাকিস্তানের রাজনীতি ভারত দখল করা। আর ভারত দখল করার সহজ হতো যদি বাংলাদেশে পূর্ব পাকিস্তানই থাকত। কিন্তু ১৯৭১ সালের রক্ত দিয়ে আমরা সেই পাকিস্থানকে পরাজিত করে বাংলাদেশকে জন্ম দেওয়ার মাধ্যমে, ইসলাম নামক কিট এবং রাজনৈতিক মতবাদের কু চক্রান্তকে রুখে দিয়ে। একটা স্বাধীন, ধর্মনিরপেক্ষ, এবং বাঙ্গালী জাতি হিসাবে মাথা উচু করে দারিয়েছিলাম।
কিন্তু ১৯৭৫ তারপর বঙ্গবন্ধু হত্যা, তারপর বন্দুকের নল ঠেকিয়ে জিয়ার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই লক্ষ্য করেছি। ১৯৭১ সালে যুদ্ধে এবং যুদ্ধের আগে এবং শেষ মূহুর্ত পযন্ত, ইসলাম প্রেমীক,পুরুষতান্ত্রিক সমাজের দাবীদাররা, বাংলাদেশ জন্মের বিরুদ্ধে কাজ করেছে। ও স্বাধীন হওয়ার পর জিয়া যখন দখল করল ক্ষমতা, আর তখনই দেখা গিয়েছে দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া পাকি প্রেমী, ইসলামের কাঙ্গাল, পুরুষতন্ত্রের মহুয়ায় ভাসা টুপি দাড়ি রাখা জানোয়ারেরা। ইসলামের দাওয়াত নিয়ে দেশে আসে জঙ্গি গোষ্ঠীর মোল্লারা ওরফে জামায়াত । আর এ সুযোগটা করে দিলো জিয়া।
এবং নানা কায়দায় বাংলার জন্মের বিরুদ্ধে যারা কাজ করেছে তারা হলো বাংলার মন্ত্রী, তাদের হাতে তুলে দেওয়া হলো স্বাধীন বাংলার স্পন্দন জাতীয় পতাকা, ওদের হাতে পরল সোনার বাংলা, তাদের গাড়িতে উড়ল, আমার ভাইয়ের রক্তের বিনিময়ে পাওয়া লাল সবুজের পতাকা! যারা বাংলাদেশের জন্মের বিরুদ্ধে ছিলো।ওই পাকি প্রেমী, ইসলাম প্রেমী,পুরুষতান্ত্রিক প্রেমী, ওরফে রাজাকার তথা স্বাধীনতা বিরোধী ও মানবতা বিরোধী। তারপর থেকে শুরু হলো পাকি প্রেমীদের ভেঙে যাওয়া স্বপ্ন> জোড়া লাগার সুজুক এলো> ও বাস্তবে রূপ নিলো, এবং ইতিহাস বলে জিয়ার সেই দেওয়া সুজুকে এমপি, মন্ত্রী হয়ে দেশেকে ইসলামের ছায়া তলে নিয়ে যেতে নানা কর্মসূচি জামায়তীদের, তথা বিএনপির ছত্রছায়ায়।
এবং দেশটা আবার বদলাতে শুরু করলো। সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের উপরে দেখা গিয়েছে বর্বরোচিত হামলার চিত্র! দেশেকে হিন্দু শূন্য করতে এবং ইসলামের খেলাফত তথা পাকিস্তানের অংশ ও শরিয়া আইন কায়েমে মরিয়া এই জামায়ত তথা নিজামীর দল। এর পর যতদিন বিএনপির সাথে জামায়াত ক্ষমতায় এসেছে ততদিন পযন্ত বাংলার ইতিহাসের বিরুদ্ধে কাজ করে দেশকে বাংলাস্থান।তথা পাকিস্থানের অংশ বানাতে চেয়েছে এই জানোয়ারেরা, এবং এদের পোশন করেছে এই বিএনপি।
বাংলার স্বাধীনতাকে কলঙ্কিত করেছে এই পাকিস্তানী প্রেমীদের কুচক্রান্তে। এর দায় ভার পুরো বহন করতেছে বিএনপি’র বর্তমান নেতা কর্মীরা, ও বিএনপি’র চেয়ারম্যান খালেদা জিয়া সহ, তবে বিএনপির আদলে পাকিস্তানী প্রেমী, ইসলামীক প্রেমী,ভন্ড পুরুষতান্ত্রিক সমাজের সুভিদাবাদি,জামায়াত বাংলার স্বাধীনতাকে থামাতে না পারলেও জিয়ার কল্যানে তা সফল হয়েছে। এজন্য আমি কখনও পারিনি জিয়ার ভালো কাজের প্রশংসা করতে। কারন সে যা করেছে পরে পাকি প্রেমিদের বাংলায় “স্থান” দিয়ে পতাকা দিয়ে দেওয়া হলো দেশ শাশনের ভার।
এই অপকর্মের পর জিয়াকে বীর যোদ্ধা বলতে আমার বিবেকে বাধে। কিছু “টা” এমন হলো না? চোরকে বলল চুরি করতে আবার গেরস্তকে বলল সাবধান থাকতে। এমন মানুষের প্রতি আমার কোনো শ্রদ্ধা নাই ভাই, দুঃখিত ভাই! আমি পারব না!
যাইহোক বর্তমানের দিকে চেয়ে দেখলে আমরা যা দেখি ত খুবই লজ্জাজনক এবং বিভিষীকাময়। বিএনপি’র অপকর্ম তথা জামায়ত পোশনের ফল আজ ভোগ করতেছে। আমরা দেখতে পাই বর্তমানে বিএনপি এখন জায়গা বেজায়গা বুঝে না,শুধুই কান্না করে।গত কালো বোধহয় দেখলাম বিএনপি’র মহাসচিব কান্না করতেছে। কেন? কেন? কেন? প্রশ্ন জাতীর কাছে? এবং আমাদের বর্তমান নেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার কাছে? আমি কেন শেখ হাসিনার কাছে প্রশ্ন রাখলাম জানেন? কারন আমি শেখ হাসিনাকে জানাতে চাই, আপাতত আপনি! আপনি কি করে পারলেন? স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি তথা জামায়াতের আরেক রূপ হেফাজতী ইসলাম কে বাংলার মাটিতে পোষণ করতে?
এর ফলাফল ভয়াবহ, আপনি জানেন আমি কি বলতেছি নেত্রী, কিন্তু কেনো জেনে বুঝে এরকম সাপ নিয়ে খেলা করতেছেন। বিএনপি’র অতিত কর্মকান্ডের জামায়াতের বিষাক্তক ছোবলে আপনি সহ তথা আওয়ামীলীগ সহ দেশের স্বাধীনতাকে শেষ করার কর্ম কি আপনি ভুলে গিয়েছেন? ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা, ও ১৪ আগস্টের কথা? ওরা কারা ছিলো আর কোন মতবাদের বিশ্বাসী ছিলো বলে, আপনি ও আপনার পরিবার সহ গোটা আওয়ামীলীগকে শেষ করতে চেয়েছিলো? নির্লজ্জ ভাবে রক্তাক্ত করে! ভুলে গিয়েছেন? আমার মনে হয় ভুলেন নি! কিন্তু কেনো?
এখন দেখতে পারছি আপনার অতিত ভুলে যাওয়ার ইতিহাস! অতীত ভুলবার আগে আপনি কিছু সাহসি কাজ করলেও! এখন কেনো আপনার এই রূপ? আপনি জানেন কোন মতবাদের মানুষরা বাংলাদেশকে চায় না! চায় পাকিস্তান! আর সেই সকল মতবাদের বিশ্বাসী হেফাজতের রূপ ধরে থাকা শিবির জঙ্গিদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিচ্ছেন? আপনার মত ভুক্তভোগী দেশের কম মানুষই আছে, যারা স পরিবারে ঐ মতবাদে বিশ্বাসীদের হাতে শেষ হয়েছে। কিন্তু আপনি হঠাৎ অতিত ভুলে কি কি করলেন তা কি হিসাব রেখেছেন?
মনে হয় রাখেন নি? আমার কিন্তু এই সকল অপকর্মের হিসাব বের করলেই মনে হয় আপনি ক্ষমতা আর ভোটের রাজনৈতিক করতেছেন। এখন আপনি জানেন আপনি কি করতে চাচ্ছেন। কিন্তু আমাদের কাছে পরিস্কার কিরকম অপকর্ম আপনি করেছেন এবং তার ফলাফল কতটা ভয়াবহ হচ্ছে। আমি হিসাবটা দিচ্ছি,
শাপলাচত্বর ঘেরাও কর্মসূচির পর আপনার সাথে হেফাজতি জঙ্গিদের উঠাবসা তা কিন্তু আমরা দেখেছি। সুধু তাই নয় আপনি উঠা বসা পযন্তই রাখেন নি? আপনি গনভবনের মত জায়গায় বসিয়ে জামাই আদর করলেন ওই জঙ্গী গোষ্ঠীর প্রধানকে। তারপর আপনি বললেন তারা নাকি আপনার ভাই, সুপ্রিম কোর্টের ভাস্কর্য নাকি আপনার ও ভালো লাগে নি! তারপর দিনকে দিন হেফাজতের সাথে মেলা মেশার ব্যপারটা কিন্তু এমন হয়েছে, যে হেফাজতি ক্ষমতায়, আপনারা নয়! কেনো জানেন এটা বললাম?
বিভিন্ন জায়গায় হেফাজতের জঙ্গি নেতারা কিন্তু এরকম হুমকি মূলক বক্তব্য দেয় যা নাকি শান্তির ধর্মের বানী। কেনো তারা এত দাপট দেখায়? কারন আপনি তাদের কওমী জননী! কারন আপনি আমার বাংলার বাচ্চা সোনা মনি শিশুদের হাতে তুলে দিয়েছেন, “অ” “আ” তে আল্লাহর নাম শরন করো। “ই” তে ইমান আনো! এসব করে আপনি তাদের মতবাদ কে প্রশ্রয় দিচ্ছেন পাশা পাশি তাদের দাবীদাবা মেনে নেওয়ার কারনে তারা নিজেদের শক্তিশালী মনে করতেছে। হায় “রে” নেত্রী আপনি কি কাজ করলেন আপনি কি তা বুঝেছেন?
আপনার পরিবার সহ আপনাকে হত্যার পিছনে কি মতবাদের মানুষেরা ছিলো? আর আপনি সেই মতবাদের প্রশ্রয় দিয়ে আমার দেশের বাচ্চাদের ঐ মতবাদে গড়ে তোলার কাজে সহজোগিতা করতেছে। আপনার জীবনের বেশির ভাগ সময় পার করে গেয়েছেন। হয়ত বা আরো কিছু দিন আপনি বাচবেন প্রকৃতির নিয়ম অনুজাই। কিন্তু আপনি এই সকল অপকর্ম করতেছেন এর ফল কিন্তু ভোগ করবে এদেশের জনগন, কাদের জন্য আপনি রাজনীতি করেন? আপনার ত পুরো পরিবারকেই শেষ করেদিয়েছে।
নিশ্চয় জনগনের জন্য, তাছাড়া ত আমি কিছু তেমন দেখি না। কিন্তু এই অপকর্ম শুরু করেছিলো জিয়া, আর আপনিও সে অপকর্মে লিপ্ত হচ্ছেন। ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেওয়ার ফলে কিন্তু জিয়ার প্রথমের ভালো কাজ যেমন যুদ্ধকরা, এগুলো কিন্তু পরে তার অপকর্মের ফলে তা নস্ট হয়ে গিয়েছে এবং সে বিতর্কিত। এসব আপনি সবই জানেন। আপনার বর্তমানে এসব কাজের ফল ভোগ করবে এদেশের জনগন। আর জনগন এসবের ভুক্তভোগী হলে কিন্তু আপনার জতই ভালো কাজের নিদর্শন আগের থাক না কেনো!
আপনার বাবার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার জন্য এত নিত্যনতুন উড়ালসেতু, সেতু, বড় বড় দালান এসব কিন্তু একটা সময় বোমার আঘাতে ভেঙে পড়বে। কাজেই লক্ষ্য করুন বিএনপি বাংলাদেশে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি করতো ক্ষমতার লোভে। এবং যা হলো, তা বর্তমানে বিএনপি’র এসব প্রাপ্য। কারন অতি লোভ ভালো নয়। ক্ষমতার লোভে আজকে বিএনপি’র নেত্রীর কারবাস, জামায়তের মত ইসলামীক মতবাদ ধারি সন্ত্রাসী বাহিনী এদের প্রশ্রয় দিতে গিয়ে বিএনপি’র কিন্তু দুর্নামও কম নয়।
এবং মাননীয় শেখ হাসিনা, আপনিও ত হেফাজতের হাতকে শক্তিশালী করে দেশে ইসলামীক আইন পাশ করে নিজের মৃত পরিবারের সাথে অনৈতিক কাজগুলো করতেছেন।পাশাপাশি দেশের স্বাধীনতার উপরে দিয়ে যাচ্ছেন কলঙ্ক। আপনার শুভ বুদ্ধির উদয় না হলে বাংলাদেশ হবে বাংলাস্থান। চলবে আফগানিস্তানের মত অস্ত্রের মহরা, আকাশে উড়বে যুদ্ধ বিমান।
নাহলে এই সমস্ত ইসলামীক প্রেমী শরিয়া প্রেমীক পুরুষতান্ত্রিক সমাজের মূল আশাবাদীরা ওরফে হেফাজত ইসলাম জঙ্গি গোষ্ঠী নামধারী জামায়ত শিবির দেশের স্বাধীনতার ইতিহাস বদলে দিবে।কিন্তু আমরাও সেটা হতে দিবো না। আমি আবারো বলতেছি আরেকটা সমকামী বক্তির শরীরে যদি এই হেফাজত তথা জঙ্গি গোষ্ঠি অস্ত্র চালায়। তাহলে এদেশে আবার স্বাধীনতার ডাক দিতে হবে এদেশের সচেতন মানুষের।