Type to search

হাস্যকর হাদিস সমূহ পর্ব -৪

ইসলাম ধর্ম ধর্ম

হাস্যকর হাদিস সমূহ পর্ব -৪

Share

হাদিসে এত ধরনের আজগুবি কথ আবলা আছে যার আসলে কোন মানে দ্বারায় না। বছরের পড় বছর এগুলোই মানুষ পালন করে আসছে। এই মুসলমান যাটি শিক্ষার আলোতে শিক্ষিত হয়েও এসকল অন্ধ আর ভ্রান্ত বিশ্বাসে জর্জরিত এক সমাজে পরিণত হয়েছে। একটা সময় আসবে এদেরকে অন্য মানুষ আর পাত্তা দিবে না। কারণ ইসলাম ভয় দেখিয়ে মানুষকে ধর্ম পালন করতে বাধ্য করে। এটা না করলে তোমার ক্ষতি হবে,তুমি ইঁদুর হয়ে যাবে,তুমি শর্ব শান্ত হয়ে যাবে। আল্লাহর গজব পরবে তুমি ধ্বংস হয়ে যাবে। কিন্তু আমার কথা হল মানুষের উপকার আর ভালো চাইলে সেই মানুষ সবসময় ভালো থাকে তার জন্য ধর্ম পালন করতে হয় না। হাদিসে যেভাবে ভহয় দেখান হয়,

■মানুষ ইঁদুরে পরিণত হতে পারে

গ্রন্থের নামঃ সহীহ মুসলিম (ইফাঃ)

হাদিস নম্বরঃ [7227]

অধ্যায়ঃ ৫৬/ যুহুদ ও দুনিয়ার প্রতি আকর্ষণহীনতা সম্পর্কিত বর্ণনা (كتاب الزهد والرقائق)

পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন

পরিচ্ছদঃ ১১. বানর প্রসঙ্গ এবং তা বিকৃত প্রাণী হওয়া প্রসঙ্গ

৭২২৭। আবূ কুরায়ব মুহাম্মদ ইবনু আ’লা (রহঃ) …আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বললেন, ইঁদুর (মানুষের) বিকৃত প্রানী। এর নিদর্শন হচ্ছে এই যে, এদের সামনে বকরীর দুধ রাখা হলে তাঁরা তা পান করে, আর উষ্ট্রীর দুধ রাখা হলে তাঁরা তাঁর একটু স্বাদ গ্রহন করেও দেখেনা। এ কথা শুনে কা’ব (রাঃ) তাকে বললেন, তুমি নিজে কি (এ হাদিসটি) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে শুনেছ? তিনি বললেন, তা না হলে, কি তাওরাত আমার উপর অবতীর্ণ হয়েছে?

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

■উটের মূত্র পান

গ্রন্থের নামঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী)

হাদিস নম্বরঃ [4246]

অধ্যায়ঃ ২৯। কাসামাহ্ (খুন অস্বীকার করলে হলফ নেয়া), মুহারিবীন (লড়াই), কিসাস (খুনের বদলা) এবং দিয়াত (খুনের শাস্তি স্বরূপ জরিমানা) (كتاب القسامة والمحاربين والقصاص والديات)

পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি

পরিচ্ছদঃ ২. শক্র সৈন্য এবং মুরতাদদের বিচার

৪২৪৬-(১০/…)আবূ জাফার মুহাম্মাদ ইবনু সাব্বাহ ও আবূ বাকর ইবনু আবূ শাইবাহ (রহঃ) ….. আনাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত যে, “উকল” গোত্রের আটজনের একটি দল রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট আসলো। তারা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে ইসলামের উপর বাই’আত করল। অতঃপর মাদীনার আবহাওয়া তাদের প্রতিকূল হওয়ায় তারা অসুস্থ হয়ে পড়লে এ ব্যাপারে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট অভিযোগ করল। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমরা কি আমাদের রাখালের সাথে গমন করে উটের মূত্র এবং দুগ্ধ পান করতে পারবে?তখন তারা বলল, জী- হ্যাঁ। এরপর তারা বের হয়ে গেলে এবং এর (উটের) মূত্র ও দুগ্ধ পান করল। এতে তারা সুস্থ হয়ে গেল্ অতঃপর তারা রাখালকে হত্যা করে উটগুলো হাঁকিয়ে নিয়ে গেলে। এ সংবাদ রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট পৌছল। তিনি তাদের পিছনে লোক পাঠালেন। তারা তাদেরকে পাকড়াও করে নিয়ে এল। তাদের প্রতি নির্দেশ জারি করা হল। তখন তাদের হাত-পা কৰ্তন করা হল এবং তপ্ত লৌহ শলাকা চোখে প্রবেশ করানো হলা। এরপর তাদেরকে রৌদ্রে নিক্ষেপ করা হলো। অবশেষে তারা মারা গেল।

ইবনু সাব্বাহ (রহঃ) … বর্ণনা وَطَرَدُوا الإِبِلَএর স্থলে وَاطَّرَدُوا النَّعَمَউল্লেখ রয়েছে। রাবী বলেন, অতঃপর তাদের চোখগুলো উপড়ে ফেলা হল। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৪২০৭, ইসলামিক সেন্টার ৪২০৭)

■ওপেন হার্ট সার্জারি করে হৎপিন্ড পরিষ্কার

গ্রন্থের নামঃ সহীহ মুসলিম (ইফাঃ)

হাদিস নম্বরঃ [310]

অধ্যায়ঃ ১/ কিতাবুল ঈমান

পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন

পরিচ্ছদঃ ৭৩. রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর মি’রাজ এবং নামায ফরয হওয়া

৩১০। শায়বান ইবনু ফাররুখ (রহঃ) … আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কাছে জিবরীল (আলাইহিস সালাম) এলেন, তখন তিনি শিশুদের সাথে খেলছিলেন। তিনি তাঁকে ধরে শোয়ালেন এবং বক্ষ বিদীর্ণ করে তাঁর হৎপিন্ডটি বের করে আনলেন। তারপর তিনি তাঁর বক্ষ থেকে একটি রক্তপিন্ড বের করলেন এবং বললেন এ অংশটি শয়তানের। এরপর হৎপিণ্ডটিকে একটি স্বর্ণের পাত্রে রেখে যমযমের পানি দিয়ে ধৌত করলেন এবং তার অংশগুলো জড়ো করে আবার তা যথাস্থানে পূনঃস্থাপন করলেন। তখন ঐ শিশুরা দৌড়ে তাঁর দুধমায়ের কাছে গেল এবং বলল, মুহাম্মাদ -কে হত্যা করা হয়েছে। কথাটি শুনে সবাই সেদিকে এগিয়ে গিয়ে দেখল তিনি ভয়ে বিবর্ণ হয়ে আছেন! আনাস (রাঃ) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর বক্ষে সে সেলাই-এর চিহ্ন দেখেছি।

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

গ্রন্থের নামঃ সূনান তিরমিজী (ইফাঃ)

হাদিস নম্বরঃ [3346]

অধ্যায়ঃ ৫০/ কুরআন তাফসীর

পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন

পরিচ্ছদঃ সূরা আলাম নাশরাহ

৩৩৪৬. মুহাম্মদ ইবন বাশশার (রহঃ) …… আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে তাঁর স্বগোত্রীয় ব্যক্তি মালিক ইবনা সা’সা’ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমি বায়তুল্লাহর কাছে ঘুম ও জাগরণের মাঝামাঝি আবস্থায় ছিলাম। হঠাৎ শুনি কেউ একজন বলছে তিনজনের মাঝে একজন …… তারপর সোনার একটি খাঞ্চা আমার কাছে আনা হল। এতে ছিল যমযমের পানি। এখান থেকে ওখান পর্যন্ত আমার বক্ষ বিদীর্ণ করা হল। কাতাদা (রহঃ) বলেছেনঃ আমি আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহুকে বললামঃ ওখান পর্যন্ত বলতে কি বুঝিয়েছেন? তিনি বললেনঃ পেটের নিচ পর্যন্ত।

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তারপর আমার হৃদয় বের করে আনা হয় এবং তা যমযমের পানি দিয়ে ধৌত করে পুনরায় স্ব-স্থানে স্থাপন করা হয়। আর ঈমান ও হিকমত দ্বারা তা ভরে দেওয়া হয়। হাদীসটিতে আরো দীর্ঘ বর্ণনা রয়েছে।

সহীহ, বুখারি ও মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩৩৪৬ [আল মাদানী প্রকাশনী]

হাদীসটি হাসান- সহীহ। এ বিষয়ে আবু যার রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে।

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

যদি মানুষের হৃদপিণ্ড আসলেই জমজমের পানি দিয়ে ধুলেই তার সকল হার্টের রোগ ভালো হয়ে যেত তাহলে মানুষ লক্ষ লক্ষ তাকা খরচ করে অপারেশন করাত না। বিজ্ঞান সফল ভাবে গবেষণা করে আধুনিক যন্ত্র পাতি আবিষ্কার করত না। চিকিৎসা বিজ্ঞানের এত প্রসারতা লাগ করত না। তাহলে সকলে জমজম কুয়ার পানি দিয়ে হার্ট ধুয়ে আবার জায়গা মতো হার্ট বসিয়ে দিলেই সে একদম ভালো হয়ে যেত। ইসলাম ধর্ম যে কত্তা কুশঙ্কারাচ্ছন এক ধর্ম এই হাদিস গুলো না পড়লে আসলে কোনদিন জানাই হত না যে কত্তা অন্ধকারের মধ্যে বাস করছি আমরা।