Type to search

হাস্যকর হাদিস সমূহ পর্ব -১

ধর্ম

হাস্যকর হাদিস সমূহ পর্ব -১

Share

বিভিন্ন ইসলামিক গ্রন্থে অনেক ভিত্তিহীন প্রসঙ্গের উল্লেখ আছে। ইসলামিক হাদিস এর মধ্যে এমন সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো যা রূপকথা ছাড়া বর্তমান জগতের সাথে আজকাল এর তাল মিল পাওয়া যায় না। বিশ্ব আজ কত এগিয়ে গেছে কিন্তু মানুষ সেই আজও ১৪০০ বছরের পুরনো গোঁড়ামি আর রীতি নিটি পড়ে আছে। বিবর্তন হয় কিন্তু এসকল কট্টর মুসলমানদের মণ পরিবর্তন হয় না। মানুষ বিজ্ঞানের দেয়া সুযোগ সুবিধা তো ভগ করে কিন্তু মণ মানসিকতা সেই মাদ্ধাতার আমলের করে রেখেছে। আলাপ করবো হাস্যকর হাদিস নিয়ে –

দুষ্টু পাথর মুসার কাপড় নিয়ে দৌঁড়ায়

১৯৪. আবূ হুরায়রাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত, নাবী ﷺবলেছেনঃ বানী ইসরাঈলের লোকেরা নগ্ন হয়ে একে অপরকে দেখা অবস্থায় গোসল করতো। কিন্তু মূসা (‘আ.) একাকী গোসল করতেন। এতে বানী ইসরাঈলের লোকেরা বলাবলি করছিল, আল্লাহ্র কসম, মুসা (‘আ) ‘কোষবৃদ্ধি’ রোগের কারণেই আমাদের সাথে গোসল করেন না। একবার মূসা (‘আ.) একটা পাথরের উপর কাপড় রেখে গোসল করছিলেন। পাথরটা তাঁর কাপড় নিয়ে পালাতে লাগল। তখন মূসা (‘আ.) ‘পাথর! আমার কাপড় দাও,’’ ‘‘পাথর! আমার কাপড় দাও’’ বলে পেছনে পেছনে ছুটলেন। এদিকে বানী ইসরাঈল মূসার দিকে তাকাল। তখন তারা বলল, আল্লাহ্র কসম মূসার কোন রোগ নেই। মূসা (‘আ.) পাথর থেকে কাপড় নিয়ে পরলেন এবং পাথরটাকে পিটাতে লাগলেন। আবূ হুরায়রাহ্ (রাযি.) বলেনঃ আল্লাহ্র কসম, পাথরটিতে ছয় কিংবা সাতটা পিটুনীর দাগ পড়ে গেল।

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

■শয়তান বাম হাতে খায়

গ্রন্থের নামঃ সূনান আবু দাউদ (ইফাঃ)

হাদিস নম্বরঃ [3734]

অধ্যায়ঃ ২১/ খাদ্যদ্রব্য (كتاب الأطعمة)

পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন

পরিচ্ছদঃ ৪৭১. ডান হাতে খাওয়া সম্পর্কে।

৩৭৩৪. আহমদ ইবন হাম্বল (রহঃ) ………… ইবন উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন তোমাদের কেউ খাবার খায়, তখন সে যেন তার ডান হাত দিয়ে খায় এবং যখন পানি পান করে, তখন যেন ডান হাতে পান করে। কেননা, শয়তান বাম হাতে খায় এবং পানি পান করে।

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

গ্রন্থের নামঃ সুনানে ইবনে মাজাহ

হাদিস নম্বরঃ [3268]

অধ্যায়ঃ ২৩/ আহার ও তার শিষ্টাচার (كتاب الأطعمة)

পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন

পরিচ্ছদঃ ২৩/৮. ডান হাত দিয়ে খাদ্য গ্রহণ

৩/৩২৬৮। জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তোমরা বাম হাতে আহার করো না। কারণ শয়তান বাম হাতে আহার করে।

মুসলিম ২০১৯,২০৯৯, আবূ দাউদ ৪১৩৭, আহমাদ ১৩৭০৪, ১৩৭৬৬, ১৩৭৮৬, ১৪০৪৩, ১৪০৯৫, ১৪১৭৭, ১৪২৯৫, ১৪৪৪২, ১৪৪৮১, ১৪৭৩৩, মুয়াত্তা মালেক ১৭১১, দারেমী ২০৩০। সহীহাহ ৩/২৩৯।

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

গ্রন্থের নামঃ সহীহ মুসলিম (ইফাঃ)

হাদিস নম্বরঃ [5093]

অধ্যায়ঃ ৩৭/ পানীয় দ্রব্য

পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন

পরিচ্ছদঃ ১২. পানাহারের আদবসমূহ ও তার বিধান

৫০৯৩। আবূ বাকর ইবনু আবূ শায়বা, মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু নূমায়র, যুহায়র ইবনু হারব ও ইবনু আবূ উমার (রহঃ) … ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যখন আহার করে, তখন সে যেন ডান হাতে আহার করে। আর যখন পান করে সে যেন ডান হাতে পান করে। কারণ শয়তান বাম হাতে আহার করে এবং বাম হাতে পান করে।

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

গ্রন্থের নামঃ সহীহ মুসলিম (ইফাঃ)

হাদিস নম্বরঃ [5095]

অধ্যায়ঃ ৩৭/ পানীয় দ্রব্য

পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন

পরিচ্ছদঃ ১২. পানাহারের আদবসমূহ ও তার বিধান

৫০৯৫। আবূ তাহির ও হারামালা (রহঃ) … ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যেন বাম হাতে পানাহার না করে। কারণ শয়তান বাম হাতে পানাহার করে। বর্ণনাকারী বলেন, নাফি (রহঃ) এতে অধিক বলতেন, বাম হাতে যেন (কিছু) গ্রহণ না করে এবং প্রদানও না করে। আবূ তাহির (রহঃ)-এর বর্ণনায় أَحَدٌ مِنْكُمْএর স্থলে أَحَدُكُمْশব্দ রয়েছে।

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

হাই তুললে শয়তান মুখের ভিতরে ঢুকে যায়

গ্রন্থের নামঃ মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)

হাদিস নম্বরঃ [985]

অধ্যায়ঃ পর্ব-৪ঃ সলাত

পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি

পরিচ্ছদঃ ১৯. প্রথম অনুচ্ছেদ – সলাতের মাঝে যে সব কাজ করা নাজায়িয ও যে সব কাজ করা জায়িয

৯৮৫-[৮] আবূ সা‘ঈদ আল্ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন,রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সলাতে তোমাদের কারো ‘হাই’ আসলে যথাসাধ্য তা আটকে রাখবে। কারণ (‘হাই’ দেয়ার সময়) শায়ত্বন (শয়তান) (মুখে) ঢুকে যায়। (মুসলিম)

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

মণের মধ্যে প্রশ্ন জাগে যদি মানুষ বাম হাতে খায়,বা জনব থেকে সবকিছু বাম হাতে করে তাহলে সেই মানুষকে কি শয়তানের প্রতিনিধি,বা শয়তান বলা হবে?কেউ যদি বাম হাত বা দান হাত কর্মক্ষেত্রে ব্যাবহার করে তাহলে শরীরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ কেন আলাদা করে দেয়া হবে?এই পক্ষ পাতিত্য কেন?একই শরীরে যে যে অঙ্গ আছে আলাদা করে দায়িত্ব ভাগ হবে কেন?যদি বা হাত না থাকত তাহলে কি কষ্ট কম হত ?বা দান হাত যদি না থাকত তাহলে জীবন শেষ হয়ে যেত?নাকি প্রতিবন্ধী মানুষরা বাঁচে না?তাড়া সকলে কি শয়তানের প্রতিনিধি?ঘুম আসলে তো মানুষ হাই তুলবেই। এটা প্রাকৃতিক তাই বলে মুখ বন্ধ করে তো আর হাই তলা যায় না!