অমুসলিমদের নিয়ে কোরান কি বলে
Share
অমুসলিম পরিবার ও পিতামাতার সাথে সম্পর্ক রাখা যাবে না। নিজের পিতা , মাতা, ভাই বোন যে কেউ ইসলাম ত্যাগ করে অথবা কুফরিকে প্রিয় মণে করে তাহলে কোনভাবেই তাঁদের সাথে সম্পর্ক রেখ না। এদের সাথে সম্পর্ক রাখলে তোমার ইমান নষ্ট হবে, এবং এদের সঙ্গ ত্যাগ করো এবং যারা ইমানকে মণে প্রাণে ধারণ করে তাঁদের সাথে বসবাস শুরু করো। পরিবারকে ত্যাগ করো আর অমুসলিমদের প্রতি কঠোর ব্যাবস্থা গ্রহণ করো। নিজেদেরকে দোজখের আগুণ আর শাস্তি থেকে রক্ষা করো। নতুন করে জীবন শুরু করো।
অমুসলিম পিতামাতা বা আত্মীয়দের সাথে সম্পর্ক রাখা যাবে না
-হে ঈমানদারগণ, তোমরা নিজদের পিতা ও ভাইদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না, যদি তারা ঈমান অপেক্ষা কুফরীকে প্রিয় মনে করে। তোমাদের মধ্য থেকে যারা তাদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করে তারাই যালিম।
কোরআন ৯-২৩
-আমি মানুষকে পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার করার জোর নির্দেশ দিয়েছি। যদি তারা তোমাকে আমার সাথে এমন কিছু শরীক করার জোর প্রচেষ্টা চালায়, যার সম্পর্কে তোমার কোন জ্ঞান নেই, তবে তাদের আনুগত্য করো না। আমারই দিকে তোমাদের প্রত্যাবর্তন। অতঃপর আমি তোমাদেরকে বলে দেব যা কিছু তোমরা করতে।
কোরআন ২৯-৮
-পিতা-মাতা যদি তোমাকে আমার সাথে এমন বিষয়কে শরীক স্থির করতে পীড়াপীড়ি করে, যার জ্ঞান তোমার নেই; তবে তুমি তাদের কথা মানবে না এবং দুনিয়াতে তাদের সাথে সদ্ভাবে সহঅবস্থান করবে। যে আমার অভিমুখী হয়, তার পথ অনুসরণ করবে। অতঃপর তোমাদের প্রত্যাবর্তন আমারই দিকে এবং তোমরা যা করতে, আমি সে বিষয়ে তোমাদেরকে জ্ঞাত করবো।
কোরআন ৩১-১৫
■ কাফেরদের কখনো সাহায্য করা যাবে না
-আর তুমি আশা করছিলে না যে, তোমার প্রতি কিতাব (কুরআন) নাযিল করা হবে, বরং তা তোমার রবের পক্ষ থেকে রহমতস্বরূপ। অতএব, তুমি কখনো কাফিরদের জন্য সাহায্যকারী হয়ো না।
কোরআন ২৮-৮৬
■ কাফেররা মুসলমান না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধের নির্দেশ
গৃহে অবস্থানকারী মরুবাসীদেরকে বলে দিনঃ আগামীতে তোমরা এক প্রবল পরাক্রান্ত জাতির সাথে যুদ্ধ করতে আহুত হবে। তোমরা তাদের সাথে যুদ্ধ করবে, যতক্ষণ না তারা মুসলমান হয়ে যায়। তখন যদি তোমরা নির্দেশ পালন কর, তবে আল্লাহ তোমাদেরকে উত্তম পুরস্কার দিবেন। আর যদি পৃষ্ঠপ্রদর্শন কর যেমন ইতিপূর্বে পৃষ্ঠপ্রদর্শন করেছ, তবে তিনি তোমাদেরকে যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি দিবেন।
কুরআন ৪৮ঃ১৬
■ আল্লাহ জিহাদীদের গণিমতের মালের লোভ দেখান
আল্লাহ তোমাদেরকে বিপুল পরিমাণ যুদ্ধলব্ধ সম্পদের ওয়াদা দিয়েছেন, যা তোমরা লাভ করবে। তিনি তা তোমাদের জন্যে ত্বরান্বিত করবেন। তিনি তোমাদের থেকে শত্রুদের স্তব্দ করে দিয়েছেন-যাতে এটা মুমিনদের জন্যে এক নিদর্শন হয় এবং তোমাদেরকে সরল পথে পরিচালিত করেন।
কুরআন ৪৮ঃ২০
■ অমুসলিমদের প্রতি অভিশাপ এবং গালাগালি
আহলে-কিতাব ও মুশরেকদের মধ্যে যারা কাফের, তারা জাহান্নামের আগুনে স্থায়ীভাবে থাকবে। তারাই সৃষ্টির অধম।
কুরআন ৯৮ঃ৬
সমস্ত জীবের মাঝে আল্লাহর নিকট তারাই সবচেয়ে নিকৃষ্ট, যারা অস্বীকারকারী হয়েছে অতঃপর আর ঈমান আনেনি।
কোরআন ৮:৫৫
-নিশ্চয় যারা কুফরী করে এবং কাফের অবস্থায়ই মৃত্যুবরণ করে, সে সমস্ত লোকের প্রতি আল্লাহর ফেরেশতাগনের এবং সমগ্র মানুষের লা’নত।
কোরআন ২-১৬১
বস্তুতঃ এহেন কাফেরদের উদাহরণ এমন, যেন কেউ এমন কোন জীবকে আহবান করছে যা কোন কিছুই শোনে না, হাঁক-ডাক আর চিৎকার ছাড়া বধির মুক, এবং অন্ধ। সুতরাং তারা কিছুই বোঝে না।
কোরআন ২-২৫৭
কাফেরদিগকে বলে দিন, খুব শিগগীরই তোমরা পরাভূত হয়ে দোযখের দিকে হাঁকিয়ে নীত হবে-সেটা কতই না নিকৃষ্টতম অবস্থান।
কোরআন ৩-১২
বলুন, আল্লাহ ও রসূলের আনুগত্য প্রকাশ কর। বস্তুতঃ যদি তারা বিমুখতা অবলম্বন করে, তাহলে আল্লাহ কাফেরদিগকে ভালবাসেন না।
কোরআন ৩-৩২
আর আমি সৃষ্টি করেছি দোযখের জন্য বহু জ্বিন ও মানুষ। তাদের অন্তর রয়েছে, তার দ্বারা বিবেচনা করে না, তাদের চোখ রয়েছে, তার দ্বারা দেখে না, আর তাদের কান রয়েছে, তার দ্বারা শোনে না। তারা চতুষ্পদ জন্তুর মত; বরং তাদের চেয়েও নিকৃষ্টতর। তারাই হল গাফেল, শৈথিল্যপরায়ণ।
কোরআন ৭:১৭৯
-অতএব যারা কাফের হয়েছে, তাদেরকে আমি কঠিন শাস্তি দেবো দুনিয়াতে এবং আখেরাতে-তাদের কোন সাহায্যকারী নেই।
কোরআন ৩-৫৬
যাতে ধবংস করে দেন কোন কোন কাফেরকে অথবা লাঞ্ছিত করে দেন-যেন ওরা বঞ্চিত হয়ে ফিরে যায়।
কোরআন ৩-১২৭
-খুব শীঘ্রই আমি কাফেরদের মনে ভীতির সঞ্চার করবো। কারণ, ওরা আল্লাহ্র সাথে অংশীদার সাব্যস্ত করে যে সম্পর্কে কোন সনদ অবতীর্ণ করা হয়নি। আর ওদের ঠিকানা হলো দোযখের আগুন। বস্তুত: জালেমদের ঠিকানা অত্যন্ত নিকৃষ্ট।
কোরআন ৩-১৫১
কোন ধর্মগ্রন্থ যদি অন্য মানুষদের প্রতি হিংসা পরায়ণ মনোভাব প্রকাশ করতে শেখায় এবং তাদের সাথে কোন রকম সম্পর্ক রাখার অনুমুতি প্রদান না করে তাহলে পৃথিবীতে সর্বত্র অশান্তি, যুদ্ধ লেগেই থাকবে। এখন যদি কোমল মতি শিশুদেরকে এগুলোই শেখানো হয় এরা মানুষের প্রতি মানুষের ভালবাসা, মানব ধর্মকেই কোনদিন প্রাধান্য দেবে না। কার থেকে কে বড় বা শ্রেষ্ঠ তাই নিয়ে পরে থাকবে। যে ধর্ম গ্রন্থ মানুষে মানুষে এরকম বিভেদ সৃষ্টি করে তাতে কি শান্তি আসে? এই ভিত্তিহীন আয়াতগুলো দেখালে যারা ধর্মকে মানে তারাই তো আমার মতো মানুষদের সবচেয়ে বড় শত্রু হয়ে দাঁড়াবে।